208 ) কর্নেল তাহের : - ইতিহাসের এক ট্রাজিক হিরো (COLONEL TAHER :- TRAGIC HERO OF THE HISTORY)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman
208 ) COLONEL TAHER :- TRAGIC HERO OF THE HISTORY. -Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒
🌟 ENGLISH VERSION ✒
Colonel Taher was a true freedom fighter - just as it is true that he was convicted in a court-martial for using General Zia and seizing power by inciting sepoy rebellion.
🌟 Freedom fighter Colonel Taher ✒
In 1971, at the call of Bangabandhu, Colonel Taher along with other patriotic army members also participated in the war of liberation. And also fought as a sector commander.
But one leg was injured in the firing of the Pak army - so the leg had to be amputated.
This is why he had to retire from the army after 1971.
🌟 Colonel Taher and General Zia ✒
General Zia was a very close friend of Colonel Taher.
Even after his retirement, the friendship between Colonel Taher and General Zia remained intact.
🌟 Colonel Taher and Jasad ✒
After retiring, Colonel Taher took on the role of almost mentor of the armed masses of the Jasad https://g.co/kgs/9fyJbR .
He even wanted to reorganize the Bangladesh Army under the rules of socialism - as like Chinese style.
🌟 The process of using General Zia ✒
Although General Zia was a senior army officer - he was an almost lonely man.
So General Zia agreed to use it by Colonel Taher.
🌟 Capturing and releasing General Zia ✒
After the assassination of Bangabandhu, General Khaled and Colonel Shafayat Jamil seized power after Khandaker Mushtaq appointed General Zia as the Chief of Army Staff in an illegal power struggle. And captured General Zia.
By the instigation and leadership of Colonel Taher and Major Jalil, soldiers of the Bangladesh Army revolted with the slogan "Soldiers Public are brothers" and killed General Khaled and Shafayat Jamil and freed General Zia.
🌟 Two revolts of two centuries ✒
It is to be noted that there is no excuse to equate the Sepoy Rebellion of 7 November 1975 with the Sepoy Rebellion of 1857.
Because, the Sepoy Mutiny of 1857 took place to liberate the whole of India from British rule by true patriots as like Emperor Bahadur Shah, Nawab Nana Saheb, Rani Lakshibai of Jhansi and Mangal Pandey.
But the revolt on November 7, 1975 was staged to seize power by using the chaos after the assassination of Bangabandhu to persuade and confuse the soldiers.
🌟 The onset of hostility ✒
After the November 7 uprising, Colonel Taher wanted to control General Zia.
But at the instigation of other loyal army officers, General Zia refused to be loyal to Colonel Taher.
And it is really unusual for an active army chief to be loyal to another retired army officer.
And if it is in the competition for power - then there is bound to be enmity.
🌟 Face to face Colonel Taher and General Zia ✒
Although released by Colonel Taher on 7 November, General Zia and Colonel Taher did not remain loyal.
So on November 8, Colonel Taher and Major Jalil again persuaded the soldiers to revolt against General Zia.
But Taher-Jalil succeeded against General Khaled but did not succeed against General Zia.
General Zia then became hard against Colonel Taher at the instigation of Colonel Malek, Colonel Mir Shawkat Ali and others.
This is why Colonel Taher and General Zia faced a power struggle. To face this was to face life and death.
In that power struggle, General Zia won and Colonel Taher was hanged by a court-martial.
And army members inspired by Colonel Taher's ideology were also hanged across the country.
🌟 Thus, freedom fighter, sector commander and patriot Colonel Taher had to become a tragic hero of the history.
🌟🌟🌟 BANGLA VERSION ✒
কর্নেল তাহের একজন সাচ্চা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন - এটা যেমন সত্য , তেমনি তিনি জেনারেল জিয়াকে ইউজ করে এবং সিপাহি বিদ্রোহ ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে কোর্ট মার্শালে দণ্ডিত হয়েছিলেন - সেটাও সত্য।
🌟 মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহের ✒
1971 সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে অন্যান্য দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের সঙ্গে কর্নেল তাহেরও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবং সেক্টর কমান্ডারও হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন।
কিন্তু পাক বাহিনীর গুলিতে একটা পা আহত হয় - তাই পা কেটে বাদ দিতে হয়।
এই কারণেই তিনিকে 1971 সালের পরে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যেতে হয়।
🌟 কর্নেল তাহের ও জেনারেল জিয়া ✒
জেনারেল জিয়া ছিলেন কর্নেল তাহেরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
এমনকি অবসরে যাওয়ার পরেও কর্নেল তাহের আর জেনারেল জিয়ার বন্ধুত্ব অটুট ছিলো।
🌟 কর্নেল তাহের ও জাসদ ✒
অবসরে যাওয়ার পরে জাসদের অস্ত্রধারী গণ বাহিনীর প্রায় মেনটরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন কর্নেল তাহের।
এমনকি তিনি সমাজতন্ত্রের নিয়মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করতে চেয়েছিলেন - চায়নিজ স্টাইলে।
🌟 জেনারেল জিয়াকে ইউজ করার প্রক্রিয়া ✒
জেনারেল জিয়া যদিও সিনিয়র সেনা অফিসার ছিলেন - কিন্তু তিনি ছিলেন প্রায় নিঃসঙ্গ এক ব্যক্তি।
তাই কর্নেল তাহেরের দ্বারা ইউজ করার বিষয়টা জেনারেল জিয়া মেনে নিয়েছিলেন।
🌟 জেনারেল জিয়াকে বন্দী ও মুক্ত করা ✒
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় খন্দকার মোশতাক কর্তৃক জেনারেল জিয়াকে সেনাপ্রধান নিয়োগ করার পরে জেনারেল খালেদ আর কর্নেল শাফায়াত জামিলরা ক্ষমতা দখল করে। আর জেনারেল জিয়াকে বন্দী করে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তখনের সৈনিকরা নিজেদের ভাগ্য বদলের আশায় কর্নেল তাহের আর মেজর জলিলদের প্ররোচনা ও নেতৃত্বে " সিপাহি জনতা ভাই ভাই " শ্লোগান দিয়ে সিপাহি বিদ্রোহ ঘটায় এবং জেনারেল খালেদ আর শাফায়াত জামিলদেরকে হত্যা করে জেনারেল জিয়াকে মুক্ত করে।
🌟 দুই শতাব্দীর দুই বিদ্রোহ ✒
এটা উল্লখ্য যে , 1975 সালের 7 নভেম্বরের সিপাহি বিদ্রোহকে 1857 সালের সিপাহি বিদ্রোহের সঙ্গে গুঁজামিল করার কোন বাহানা নাই।
কেননা , 1857 সালের সিপাহি বিদ্রোহ ঘটেছিলো সম্রাট বাহাদুর শাহ , নবাব নানা সাহেব , ঝাঁসির রাণী লক্ষীবাই আর মঙ্গল পাণ্ডের মতো সাচ্চা দেশপ্রেমিকদের দ্বারা সমগ্র ভারতকে বৃটেনের শাসন থেকে মুক্ত করার জন্যে।
কিন্তু 1975 সালের 7 নভেম্বরের বিদ্রোহ ঘটানো হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরের বিশৃঙ্খলাকে কাজে লাগিয়ে সিপাহিদেরকে প্ররোচিত ও বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করার জন্যে।
🌟 শত্রুতার সূচনা ✒
7 নভেম্বরের বিদ্রোহের পরে কর্নেল তাহের চাচ্ছিলেন জেনারেল জিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে।
কিন্তু অনুগত অন্যন্য সেনা অফিসারদের প্ররোচণায় জেনারেল জিয়া প্রত্যাখান করেন কর্নেল তাহেরের অনুগত হতে।
আর একজন একটিভ (চলমান) সেনাপ্রধান কর্তৃক আরেকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারের অনুগত হওয়াটা বাস্তবেই অস্বাভাবিক বিষয়।
আবার যদি সেটা হয় ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় - তাহলে তো শত্রুতা হতে বাধ্য।
🌟 মুখোমুখি কর্নেল তাহের আর জেনারেল জিয়া ✒
7 নভেম্বর কর্নেল তাহেরের দ্বারা মুক্ত হলেও জেনারেল জিয়া আর কর্নেল তাহেরের অনুগত থাকেননি।
তাই নভেম্বরের আট তারিখে কর্নেল তাহের আর মেজর জলিল আবার সিপাহিদেরকে প্ররোচিত করতে থাকে জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্যে।
কিন্তু জেনারেল খালেদের বিরুদ্ধে তাহের - জলিল সফল হলেও জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে আর সফল হলেন না।
জেনারেল জিয়া তখন কর্নেল মালেক , কর্নেল মীর শওকত আলীদের প্ররোচনায় কর্নেল তাহেরের বিরুদ্ধে কঠোর হয়েছিলেন।
এই কারণেই কর্নেল তাহের আর জেনারেল জিয়া ক্ষমতার দ্বন্দ্বে মুখোমুখি হয়েছিলেন। এই মুখোমুখি হওয়াটা ছিলো জীবন - মরণের মুখোমুখি হওয়া।
ক্ষমতার ঐ দ্বন্দ্বে জেনারেল জিয়া বিজয়ী হয়ে কর্নেল তাহেরকে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছিলেন।
এবং সারাদেশে কর্নেল তাহেরের আদর্শে উদ্বুদ্ধ সেনা সদস্যদেরকেও ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিলো।
🌟 এভাবেই মুক্তিযোদ্ধা , সেক্টর কমান্ডার ও দেশপ্রেমিক কর্নেল তাহেরকে ইতিহাসের ট্রাজিক হিরো হতে হয়েছিলো।
Comments
Post a Comment