211 ) জেনারেল এরশাদ : - চরম সুবিধাভোগী এক ব্যক্তি (GENERAL ERSHAD : - EXTREMELY BENEFICIARY A PERSON)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman

 211 ) জেনারেল এরশাদ : - চরম সুবিধাভোগী এক ব্যক্তি (GENERAL ERSHAD : - EXTREMELY BENEFICIARY A PERSON) https://is.gd/LiAfS।-Written by Junayed Ashrafur Rahman


🌟🌟🌟 ENGLISH VERSION ✒ 


 Although he was not involved in the assassination of Bangabandhu in any way - But General Ershad enjoyed extreme benefits after that assassination.


 🌟 The rise of General Ershad through General Zia ✒ 


 After Colonel Taher https://is.gd/tk6lv and his followers were hanged by the Court Martial, there was no one loyal to General Zia. Those who were, they were a group of opportunistic flatterers.


 But General Zia was very reassured when he got Mr. Ershad.


 Whether it is because General Ershad was from Rangpur, a district next to Bogura of General Zia , or for some other reason.


 General Ershad was older than General Zia - but Mr. Ershad followed General Zia like an obedient soldier.


 🌟 Quick promotion ✒ 


 General Zia made General Ershad the Chief of Army Staff with two big promotions in six months.


 This was not to the liking of other army officers at the time, nor of General Zia's loyal flatterers.


 Because, Mr. Ershad did not do the war of liberation - even from 1972 to 1975 he had no role.


 So normally other officers were dissatisfied with Mr. Ershad.


 🌟 General Ershad, After the death of President Zia ✒ 


 After the death of President Zia in 1981, General Ershad changed his strategy.


 After President Zia's death, as army chief, he should have held general elections to hand over power to an elected government.


 But he himself seized power.


 🌟 Encountering to General Manzoor ✒ 


 Was General Manzoor actually involved in the assassination of President Zia? That has not been proven even today.


 But General Manzoor was given an encounter on suspicion of involvement in the assassination of President Zia.


 🌟 1981 to 1990


 During those nine years, General Ershad enjoyed the extreme benefits of politics.


 From army chief to president, he became the head of the country's government and the country's most powerful man.


 🌟 Formation of new team ✒ 


 Mr. Ershad added a new political party to the politics of Bangladesh.


 Just as he himself became the army chief through President Zia, so he formed the Jatiya Party by bringing in many leaders and activists from the BNP like Mr. Moudud and Saka Chowdhury.


 Similarly, after Mr. Ershad was removed from power, leaders and activists like Mr. Moudud and Saka Chowdhury returned to the BNP.


 🌟 Exceptional Mr. Ershad ✒ 


 Mr. Ershad was an exceptional man in the politics of Bangladesh. According to some, "the lover man". Also he referred to himself as "attractive man."


 🌟 Bengali brother https://is.gd/Uo8ax and old teacher's https://is.gd/Uifgf rival ✒


 Yes, even though he was not a rival in political matters, Mr. Ershad was able to become a rival in the world of media.


 From 2004 to 2006, Bangla Bhai and Bura Huzur (OLD TEACHER) were almost unrivaled people in the media - at that time Mr. Ershad became another star in the media world.


 This means that Mr. Ershad divorced his youngest wife Bidisha Ershad (now Bidisha Siddique) by probably jailing her for stealing forty thousand taka.


 Although Mr. Ershad said, it was for political reasons.


 I do not understand, what has politics got to do with the theft of forty thousand taka? What if the husband's money is about stealing the wife?


 Strange as it may be, it is true that Bangladesh was then intoxicated by the old teacher with his as like daughter's age second wife - just as Mr. Ershad was intoxicated by his younger wife Bidisha. Actually weird, isn't it?


 I am saying Bidisha Siddique the youngest wife of Mr. Ershad, because Mr. Ershad married Zeenat, the wife of Mr. AKM Mosharraf, former Minister of Mineral Resources, former MP of Muktagachha, Mymensingh, according to Shariat. However, how much was stamped? - I don't know.


 🌟 Wonderful woman Raushan Ershad ✒ 


 While discussing about Mr. Ershad, we have to talk about Mrs. Raushan Ershad.


 Mrs. Raushan Ershad did not leave Mr. Ershad even after so many scandals.


 This is actually a wonderful thing.


 However, their relationship lasted so wonderfully, was it because of Mr. Ershad's lover man or good man, or because of Mrs. Raushan Ershad's patience? - Former First Lady Mrs. Raushan Ershad can say that well.


 🌟 From state power to opposition ✒ 


 While Ershad was in jail after being ousted from power in 1990, no one thought he would be the Leader of the Opposition or a partner in state power again.


 But to the surprise of the people of Bangladesh, he again became a partner in state power.


  From army chief to dictator. Being released from jail and sharing power with the state again.


 And there are women scandals. I don't know of such a bizarre politician - albeit somewhat similar to Napoleon Bonaparte, Adolf Hitler and Benito Mussolini - but not all.


 🌟 Really, Mr. Ershad is a "strange man" in the politics of Bangladesh.


🌟🌟🌟 BANGLA VERSION ✒ 


বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত না থাকলেও জেনারেল এরশাদ ঐ হত্যাকাণ্ডের পরে চরম সুবিধা ভোগ করেছিলেন।


🌟 জেনারেল জিয়ার মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের উত্থান ✒


কর্নেল তাহের আর ওর অনুসারীদেরকে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানোর পরে তেমন বিশ্বস্ত কেউই ছিলোনা জেনারেল জিয়ার পক্ষে। যারা ছিলো , ওরা ছিলো সুবিধাবাদী চাটুকারের দল।


কিন্তু এরশাদ সাহেবকে পেয়ে জেনারেল জিয়া অনেকটা আশ্বস্ত হলেন।


সেটা জেনারেল জিয়ার বগুড়ার পাশের ডিস্ট্রিক্ট রংপুরের লোক হওয়ার কারণেই হউক , অথবা অন্য কোন কারণেই হউক।


জেনারেল জিয়ার চেয়ে জেনারেল এরশাদের বয়স বেশি ছিলো - কিন্তু জেনারেল জিয়াকে এরশাদ সাহেব আজ্ঞাবহ সৈনিকের মতো অনুসরণ করতেন।


🌟 দ্রুত প্রমোশন ✒


জেনারেল এরশাদকে জেনারেল জিয়া ছয় মাসের মধ্যে বড় বড় দুটো প্রমোশন দিয়ে সেনাপ্রধান করেছিলেন।


এই বিষয়টা সেই সময়ের অন্যান্য সেনা অফিসার তো বটেই , জেনারেল জিয়ার বিশ্বস্ত চাটুকারদেরও পছন্দ হয়নি।


কেননা , এরশাদ সাহেব করেননি মুক্তিযুদ্ধ - এমনকি 1972 থেকে 1975 পর্যন্তও তিনির কোন ভূমিকা ছিলোনা।


তাই স্বাভাবিকভাবেই এরশাদ সাহেবের প্রতি অন্যান্য অফিসাররা ছিলেন অসন্তুষ্ট।


🌟 প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পরে জেনারেল এরশাদ ✒


1981 সালে প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পরে জেনারেল এরশাদ নিজের কর্ম কৌশল বদল করেছিলেন।


প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পরে সেনাপ্রধান হিসেবে তিনির উচিৎ ছিলো সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত গভমেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার।


কিন্তু তিনি নিজেই ক্ষমতা দখল করেছিলেন।


🌟 জেনারেল মনজুরকে এনকাউন্টার ✒


প্রেসিডেন্ট জিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জেনারেল মনজুর জড়িত ছিলেন কি না ? সেটা আজও প্রমাণিত হয়নি।


কিন্তু জেনারেল মনজুরকে প্রেসিডেন্ট জিয়ার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঠিকই এনকাউন্টারে দেয়া হয়েছিলো।


🌟 1981 থেকে 1990 ✒


উক্ত নয়টি বছর জেনারেল এরশাদ রাজনীতির চরম সুবিধা ভোগ করেছিলেন।


সেনাপ্রধান থেকে প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি দেশের সরকার প্রধান এবং দেশের চরম ক্ষমতাশীল ব্যক্তি হয়েছিলেন।


🌟 নতুন দল গঠন ✒


বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদ সাহেব নতুন একটা রাজনৈতিক দলের সংযোজন করেছিলেন।


তিনি নিজে যেমন প্রেসিডেন্ট জিয়ার মাধ্যমে সেনাপ্রধান হয়েছিলেন , তেমনি বিএনপি থেকে মওদুদ সাহেব , সাকা চৌধুরীর মতো অনেক নেতা - কর্মী এনে গঠন করেছিলেন , জাতীয় পার্টি।


তেমনি এরশাদ সাহেব ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পরে মওদুদ সাহেব , সাকা চৌধুরীর মতো নেতা - কর্মীরা আবারও বিএনপিতে ফিরে গিয়েছিলেন।


🌟 ব্যতিক্রমি এরশাদ সাহেব ✒


এরশাদ সাহেব ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ব্যতিক্রমি পুরুষ। কারোর মতে , প্রেমিক পুরুষ। আবার তিনি নিজেকেই "সুপুরুষ" হিসেবে উল্লেখ করতেন। 


🌟 বাংলা ভাই আর বুড়া হুজুরের প্রতিদ্বন্দ্বী ✒ 


হ্যাঁ , রাজনৈতিক বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও মিডিয়ার জগতে এরশাদ সাহেব পেরেছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী হতে বাংলা ভাই আর বুড়া হুজুরের। 


2004 থেকে 2006 পর্যন্ত বাংলা ভাই আর বুড়া হুজুর মিডিয়াতে ছিলেন প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী লোক - ঠিক সেই সময়টাতে এরশাদ সাহেব হয়েছিলেন মিডিয়া জগতের আরেক তারকা। 


মানে এরশাদ সাহেব নিজের কনিষ্ঠ স্ত্রী বিদিশা এরশাদকে (এখন বিদিশা সিদ্দিক) সম্ভবত চল্লিশ হাজার টাকা চুরির কারণে জেল খাটিয়ে তালাক দিয়েছিলেন। 


যদিও এরশাদ সাহেব বলেছিলেন , সেটা ছিলো রাজনৈতিক কারণ। 


বুঝলাম না , চল্লিশ হাজার টাকা চুরির সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক থাকতে পারে ? আবার যদি হয় স্বামীর টাকা স্ত্রী চুরি করার বিষয়ে ? 


অদ্ভুত হলেও সত্য যে , বাংলাদেশকে তখন বুড়া হুজুর মাতিয়েছিলেন নিজের মেয়ের বয়সী দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে - তেমনি এরশাদ সাহেব তখন মাতিয়েছিলেন নিজের কনিষ্ঠ স্ত্রী বিদিশাকে নিয়ে। সত্যিই কী অদ্ভুত , তাই না ? 


বিদিশা সিদ্দিককে এরশাদ সাহেবের কনিষ্ঠ স্ত্রী বলছি এই কারণে যে , সাবেক খনিজ সম্পদ মন্ত্রী , ময়মনসিহের মুক্তাগাছার সাবেক এমপি একেএম মোশাররফ সাহেবের স্ত্রী জিনাতকে শরীয়ত মোতাবেক এরশাদ সাহেব বিবাহ করেছিলেন। তবে দেনমোহর কত ধার্য করা হয়েছিলো ? - সেটা আমার জানা নাই। 


🌟 বিস্ময়কর মহিলা রওশন এরশাদ ✒ 


এরশাদ সাহেবের বিষয়ে আলোচনা করার সময় মিসেস রওশন এরশাদ সম্পর্কে আলোচনা করতেই হয়। 


এরশাদ সাহেবের এতো কেলেঙ্কারির পরেও এরশাদ সাহেবকে মিসেস রওশন এরশাদ ত্যাগ করেননি। 


সত্যিই এটা একটা বিস্ময়কর বিষয়। 


তবে , এমন বিস্ময়করভাবে তিনিদের সম্পর্কটা টিকেছিলো , সেটা কি এরশাদ সাহেবের প্রেমিক পুরুষ অথবা সুপুরুষ হওয়ার কারণে , নাকি মিসেস রওশন এরশাদের ধৈর্য্যের কারণে ? - সেটা সাবেক ফার্স্ট লেডি মিসেস রওশন এরশাদই ভালো বলতে পারবেন। 


🌟 রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে বিরোধী দলে ✒ 


1990 সালে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পরে এরশাদ সাহেব জেলখানাতে থাকার সময় কেউই হয়তো ভাবেননি যে , তিনি আবার বিরোধী দলের নেতা অথবা রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশীদার হবেন। 


কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে প্রায় চমকে দিয়ে তিনি আবার রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশীদার হয়েছিলেন। 


 সেনাপ্রধান থেকে একনায়ক শাসক। জেল থেকে মুক্ত হয়ে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতার অংশীদার হওয়া। 


আর নারী কেলেঙ্কারি তো আছেই। এমন বিচিত্র রাজনীতিক আমার জানামতে নাই - যদিও নেপোলিয়ন বোনাপার্ট , এডলফ হিটলার আর বেনিতো মুসোলিনির সঙ্গে কিছুটা মিলে - কিন্তু পুরোটা না। 


🌟 সত্যিই , বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরশাদ সাহেব এক "বিচিত্র পুরুষ"। 




Comments

Popular posts from this blog

282) কালো বিড়াল (DIFFICULT CRIMINALS)। - Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒

215)Dr. Kamal Hossain :- Legislator outside the parliament.(ড. কামাল হোসেন : - আইনসভার বাইরের আইন প্রণেতা।)-Written by Junayed Ashrafur Rahman ✒